২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়  

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৩

সংগৃহীত
নিবন্ধন শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত থাকা স্বত্বেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোটা পূরণ না হওয়ায় চলতি বছরের জন্য হজের নিবন্ধন ২১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। 
 
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
 
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
 
এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৫ জন নিবন্ধন করছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোটা পূরণ হতে আরও বাকি আছে ১৬ হাজার ৭৪৩ জন।
 
এদিকে, চলতি বছর হজের খরচ কমানো কিংবা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম।
 
এবছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলেও হজযাত্রীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। 
 
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) চলতি মৌসুমে ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষিত হজ প্যাকেজকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বাজেট রাখে; কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। হজের প্যাকেজমূল্য অনেক বেশি হওয়ায় আমরাই হজে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আর সেখানে গরিব মানুষ কীভাবে যাবে।
 
একইভাবে বুধবার হজযাত্রীদের বিমানভাড়া কমানোর সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। তারা বলেছে, বিমানভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করতে।
 
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হজ প্যাকেজে অনড় থাকার যুক্তি দেখিয়ে মতিউল ইসলাম বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটিতে ৩১টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা আছেন। আমাদের প্রতিমন্ত্রীও আছেন। আমরা যে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছি সেটি বিচার-বিশ্লেষণ করেই কমিটিতে হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, হজ প্যাকেজ সংশোধন হওয়ার বিষয়টি আমাদের পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য না। এই বিষয়ে আমাদের কোনো আলোচনাও নেই। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: