ভারতকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ পাট উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। ভারতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ স্ট্যাটিস্টিক্যাল বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটির তথ্যমতে, পাটসহ বেশ কিছু পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ কখনও ভারতকে টপকাতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের পাটের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমে যায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে পাটের উৎপাদন ৯ লাখ ৮০ হাজার টন। আর বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১৪ লাখ ৮ হাজার টন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করা গেলে অন্তত ১০ লাখ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বাড়ানো সম্ভব। একইসঙ্গে কৃষকদের কাছে সব সুবিধা দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে। ফলে, উৎপাদন ভালো হবে, রপ্তানি আয়ও বাড়বে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, পাটের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বীজের সঙ্কট মেটানোয় কাজ করছে। আধুনিক কলাকৌশলের বিষয়ে পাটচাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পাটবীজ উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। আশা করি বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছর পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১১২ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্য ১২৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ একর জমিতে প্রায় ৮৮ লাখ ৯৫ হাজার বেল পাট উৎপাদন হয়েছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: