এলডিসি সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত পাওনা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৬ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫১

সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান চায় না, আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের পাওনা চায়। এসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের প্রতিশ্রুত বকেয়া পরিশোধ করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার (৫ মার্চ) সকালে কাতারের রাজধানী দোহার জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য আশার
অন্যতম একটি নিশ্চয়তা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রকৃত কাঠামোগত রূপান্তরের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করতে হবে।

সরকারপ্রধান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তালিকা থেকে উন্নীত করার লক্ষ্যে দক্ষতা অর্জনের জন্য কিছু প্রণোদনা থাকা উচিত এবং তাদের বর্ধিত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা উপভোগ করা উচিত। উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য তাদের বর্ধিত বিনিয়োগ ও জ্ঞান প্রয়োজন। তাদের জন্য কিছু উদ্ভাবনী এবং ক্রান্তিকালীন অর্থায়ন ব্যবস্থা থাকতে পারে।

তিনি উন্নত দেশগুলোকে আশ্বস্ত করে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোও দরকষাকষিতে তাদের পক্ষ নেবে। এই দেশগুলো দান-খয়রাত চায় না; আমরা যা চাই তা হল আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির অনুযায়ী আমাদের পাওনা।

তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্যে তাদের অংশ দ্বিগুণ করার জন্য টেকসই সহায়তা প্রয়োজন এবং উন্নত দেশগুলো থেকে এলডিসির জন্য ওডিএ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের দাবি রাখে।

তিনি আরো দাবি জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণের স্থায়িত্বকে সমর্থন করার উপায় রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে নমনীয় ও অনুমানযোগ্য করতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তর বাস্তব ও অর্থবহ হতে হবে।

এসময় মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এসব দেশের অধিকাংশ দেশে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ু সংকট এবং কিছু স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব।

তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য সুরক্ষা প্রয়োজন। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২২ কোটি ৬০ লাখ তরুণকে আমরা ব্যর্থ করতে পারি না।

এতে তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান ছাড়াই কাজ করার কথা পুনরায় তুলে ধরেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সালে উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র ইউএনবি 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: