পুনরায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

সময় ট্রিবিউন | ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:৪৩

ছবিঃ সংগৃহীত

কয়লা সংকটের কারণে গত ১৪ জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ করেছিল বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এক মাস বন্ধ থাকার পরে পুনরায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় গত ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা আমদানির চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, বন্ধ হওয়া প্রথম ইউনিট থেকে আবারও উৎপাদন শুরু করতে পেরেছি। কয়লা আমদানিতে যে জটিলতা ছিল তা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। আগামী জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট প্রতিদিন চালিয়ে রাখতে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন হয়। সেই অনুযায়ী ৩০ হাজার টন কয়লা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টন কয়লা এলে তা দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম ইউনিটি এর উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। গত ১৫ আগস্ট প্রথম ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

এই ইউনিট থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসেছে। ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন।

কেন্দ্রটিতে তিন মাসের কয়লা মজুদ রাখার সক্ষমতা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুদ রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুদ রাখা সম্ভব হয়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: