মাত্র দুই হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয় নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া ২ দিনের নবজাতক। এ ঘটনার পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে টানা ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া নবজাতকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ মে) দুপুরে নরসিংদী সদর মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
জেলা পুলিশ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, রবিবার (৯ মে) সকালে সদর হাসপাতালের দোতলায় নানির কোল থেকে ২ দিন বয়সের নবজাতক চুরি হয়। চুরির পরেই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কাজ শুরু করে পুলিশ। এরমধ্যে পুলিশের কাছে খবর আসে এক সিএনজিওয়ালা নরসিংদী সদর হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে এক অজ্ঞাতনামা মহিলাকে ব্রাক্ষন্দি এলাকায় নামিয়ে দিয়ে আসে। এরপর ঐ সিএনজি চালককে নিয়ে রাত ১টার দিকে ঐ মহিলার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে শিশুটিকে পায় লিপিকা নামে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর কাছে।
লিপিকার ভাষ্যমতে, তার আগেও দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এবারের গর্ভের মেয়ে সন্তানসম্ভবা। তাই সমাজের মানুষের লজ্জার ভয়ে গত কয়েকদিন আগে অজ্ঞাতনামা ঐ মহিলার কাছে একটি পুত্র সন্তানের বিষয়ে আলোচনা করলে ঐ মহিলা তাকে একটি পুত্র সন্তান এনে দেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন। সবশেষ রবিবার দুপুরে লিপিকার বাসায় সদর হাসপাতালের চুরি হওয়া ঐ শিশু নিয়ে হাজির হয় অজ্ঞাতনামা ঐ মহিলা। তারপর ২ হাজার টাকা বখশিসের বিনিময়ে বাচ্চাটি লিপিকার হাতে তুলে দেন তিনি। তারপর বাসা থেকে চলে যায় অজ্ঞাতনামা মহিলাটি।
নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রাসেল শেখ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই উদ্ধারকাজ অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। যার কাছ থেকে শিশুটি পাওয়া গেছে তিনি অন্তঃসত্ত্বা এবং যিনি চুরি করেছেন তাকে আমরা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। অপরাধ এবং মানবিক এই দুই দিক বিবেচনায় এখন পর্যন্ত মহিলাটিকে গ্রেফতার করিনি। পুলিশ কাজ করছে, এটার সাথে আরও কোনো চক্রের যোগসাজশ আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: