শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রস্তুত ছাত্রলীগের ৪৫০ রক্তদাতা

ঢাবি প্রতিনিধি | ৭ জুন ২০২২, ০৭:৩৭

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অনেক রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজও অনেক রোগীকে এম্বুল্যান্সে করে আনতে দেখা গেছে।

এমন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই হেল্পডেস্কে ২৪ ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগের প্রায় ৪৫০ জন রক্তদাতা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে রক্তদানের জন্য এবং প্রায় ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর তালিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে প্রয়োজনে তারাও রক্ত দিতে পারে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে আগত দগ্ধ রোগীদের ভর্তিতে সহায়তা ও জরুরি ঔষধ সামগ্রী সরবরাহ করছে ছাত্রলীগ। এক্ষেত্রে যথাযথ সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে বার্ন ইউনিটের গেটে স্থাপিত বুথে রেজিস্ট্রেশনের অনুরোধ করেছে ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন মোহাম্মদ শাহেদ সময় ট্রিবিউনকে বলেন, "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে আহতদের পাশে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।"

শাহেদ আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গতরাত থেকেই চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কাজ করছে। রক্ত সংগ্রহ করা, তথ্য সহায়তা থেকে আহতদের যেকোনো প্রয়োজনে তারা পাশে থেকে কাজ করছে। তারা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে তাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। যেসব রোগীর জরুরি ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন বা সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের পাশে সর্বদা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থাকবে।"

এ ব্যপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, "দেশের যেকোন প্রকার দুঃসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘরে বসে থাকার রেকর্ড নেই। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় শুরু থেকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে, রক্তদাতা হিসেবে, ঔষধ সরবরাহকারী হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছে। ঘটনার পরদিন সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোগীরা আসা শুরু করলে সেখানেও আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করে যাচ্ছে।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: