ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে শনিবার (০১ মে) সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করেন। এমপির পক্ষে তার আইনজীবী ও শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার মামুন সদর মডেল থানায় এ মামলা করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় জেলা হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন-মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ। এছাড়া অজ্ঞাত আরও এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। তারা তাণ্ডব চালিয়ে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র, গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, আইডি ও নিউজ পোর্টালে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক, বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস প্রদান করে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: