আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সাথে পরস্পর-সম্পর্কযুক্ত বলে মন্তব্য করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত ধারণাটি শুধু আইন-আদালতের বিচার-আচার আর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর-ই নির্ভর করে না। আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সাথে পরস্পর-সম্পর্কযুক্ত। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি, বিচারক বা আইনজীবী ছাড়াও নানান পেশায় ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যগণ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৫ তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গরীব-অসহায় মানুষদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা, সাধারণ জনগণের মধ্যে আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, আইন ও অপরাধ সম্পর্কে গবেষণা করা ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ আইন সমিতি অবদান রাখতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে চির বিদায় দিয়ে দেশে ন্যায়বিচারের যে দ্বার উন্মোচন করা হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, পিতার ঐকান্তিক ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদী এলএলবি কোর্সে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষটা ঠিকঠাক শেষ করতে পেরেছিলেন। তারপরের কাহিনী অনেকেরই জানা। এলএলবি শেষ করতে না-পারা সেই প্রতিবাদী যুবকই শেষ পর্যন্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারি, সমিতির মহাসচিব কেশব রায় চৌধুরী সহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: