গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে সীমিত আয়োজনে পালিত হচ্ছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী। অতিমারি করোনাভাইরাসের কারণে সোমবার এবছর সীমিত পরিসরে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত ও সীমিত আয়োজনে দোয়া-মাহফিলের মাধ্যমে দিনটি পালিত হচ্ছে।
সকাল থেকে কবর জিয়ারতে আসছেন হুমায়ূন-ভক্তরা। বিধিনিষেধের কারণে লোক সমাগম ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় কম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল হুমায়ূন ভক্তদের সঙ্গে কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশ পল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মুজিবুর রহমান। সেসময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
ভক্তরা বলছেন, পাঠক ধরে রাখার অনন্যসাধারণ কৌশল রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের লেখনীতে। যখন থেকে তার বই পড়া শুরু করেছি তখন থেকেই তার ভক্ত হয়ে গেছি। মন খারাপ হলেই হুমায়ূন বই পড়েন তাঁরা।
শিশু সাহিত্য, নাটক, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই ছিল হুমায়ূন আহমেদের বিচরণ। কবিতা দিয়ে শুরু করলেও তিনি লিখেছেন দুই শতাধিক গল্প ও উপন্যাস। এখনও হুমায়ুন আহমেদের বই বেশিরভাগ পাঠকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
হুমায়ূন আহমেদ টিভি নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’র বাকের ভাই চরিত্রটি নিয়ে মিছিল-সমাবেশের উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যে অনন্য দুটি চরিত্র হিমু ও মিসির আলী তার সৃষ্টি।
হিমু পরিবহন গাজীপুরের সদস্য সানজিদা সিমু বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন হুমায়ূন স্যারের ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। স্যারের সব লেখা পড়তে চাই।
নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, করোনা মহামারির কারণে নুহাশপল্লীতে এবার স্যারের মৃত্যুবার্ষিকী সীমাবদ্ধ আয়োজনে পালন করা হচ্ছে। প্রতি বছর কাঙ্গালিভোজের আয়োজন থাকলেও এবার সেই অর্থ দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসংখ্য ভক্তদের রেখে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন হুমায়ূন আহমেদ।
২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় হুমায়ূন আহমেদকে দাফন করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: