পরীমনির আবেদন নাকচ করলো আদালত

সময় ট্রিবিউন | ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:২৪

পরীমনি-ফাইল ছবি

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলা পুনঃ তদন্ত চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে পরীমনিকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলার পলাতক আসামি শাহ শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রানা আচার্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, তাঁর মক্কেলের করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী ওরফে অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পরীমনি মামলা পুনঃ তদন্ত চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন, তা নাকচ করেছেন আদালত। অপর আসামি শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ও তুহিন সিদ্দিকী ওরফে অমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই মামলায় নাসির ও তুহিন জামিনে আছেন। শহিদুল পলাতক।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরীমনির করা মামলায় ১ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির তারিখ ঠিক ছিল। সেদিন পরীমনি আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগপত্রের বিষয়ে নারাজি আবেদন দেন। একই সঙ্গে তিনি মামলাটি পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। যথাযথভাবে তদন্ত না করে তদন্ত প্রতিবেদনে জমা দেওয়ার অভিযোগ করেন পরীমনি। আদালত আজ সোমবার পরীমনির ওই আবেদন নাকচের আদেশ দেন।

পরীমনি তাঁর মামলায় অভিযোগ করেন, গত ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন। সেখানে জোর করে তাঁকে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ১৩ জুন নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রথম এ-সংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশ্যে জানান পরীমনি। সেদিন রাতে বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে ঢাকা বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেন তিনি।

পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে ব্যবসায়ী নাসির ও তুহিনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার আড়াই মাস পর গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে তাঁকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তিন দফায় মোট সাত দিন তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

মাদক মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ঢাকার আদালত। মামলাটি বিচারাধীন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: