এক শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে না, ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে।
ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদার করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল জারি করেন।
রুলের অপর ২ জন হলেন-ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার ও সাবেক রেজিস্ট্রার মো. রেজাউর রহমান।
আয়েশা মাহমুদার আইনজীবী মো. আসরারুল হক বলেন, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট ঢাবির তিন সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা হোসেন, ড. কামাল উদ্দিন ও মেহজাবিন হকের নিয়োগ বাতিল করেন। ওই একই আদেশে আদালত আয়েশা মাহমুদাকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি ও তাকে যথাযথ আর্থিক সুবিধা দিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ২ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। পরে ২০১০ সালের ৮ এপ্রিল আপিল বিভাগ ঢাবি কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করে ড. আফরোজা হোসেন, ড. কামাল উদ্দিন ও মেহজাবিন হককে চাকরিতে বহাল রাখার অনুমতি দেন।
এছাড়া, আয়েশা মাহমুদাকে জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী আসরারুল হক জানান, ঢাবি কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে আয়েশা মাহমুদার পরিবর্তে ড. কামাল উদ্দিনকে জ্যেষ্ঠতা ও সুবিধা দিয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: