প্রকৃত আসামি ধরতে কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ

সময় ট্রিবিউন | ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৪৩

হাইকোর্ট-ফাইল ছবি

প্রকৃত আসামি শনাক্তকরণে কারাগারে হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ এবং চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব পর্যবেক্ষণে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এক রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানার এক মামলায় প্রকৃত আসামি নোয়াখালীর মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেসের পরিবর্তে মো. জহির উদ্দিনকে আসামি করার বিষয়ে এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ওই আদেশ দেওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ের বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন। আবেদনকারী জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন-বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো-

১. বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুকরণ।

২. গ্রেফতারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugshot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে (integrated) সংরক্ষণ।

৩. দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালুকরণ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: