রুয়েটের বাসচালক হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

সময় ট্রিবিউন | ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১৫

সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম (৫০) হত্যা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বাজেকাজলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এসএম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল।

আসামিদের মধ্যে নূর নবীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমজীবন গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুণ্ডুরিয়া গ্রামে। সোহেল রুয়েটের দৈনিক মজুরিভিত্তিক নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। সোহেলই ছিলেন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু রায়ের পর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মামলায় আরও দুজন কিশোর আসামি আছে। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য চার আসামির বিচার শেষ হলো। এ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েট সংলগ্ন অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর বাসচালক সালামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সালামের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মহানগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার চার দিন পর পুলিশ শিমুল ওরফে পলাশ নামের একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

শিমুল ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও নাম জানান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে শিমুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পলাশ তার জবানবন্দিতে বলেন, আগের একটি মারামারির মামলার মধ্যস্থতাকারী ছিলেন সালাম। সালামের ভূমিকার কারণে মামলাটি মীমাংসা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচজন মিলে সালামকে হত্যা করা হয়।

ওই মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: