পরীমণির মামলার তদন্তভার ডিবিতে

সময় ট্রিবিউন | ৬ আগষ্ট ২০২১, ২৩:০৩

আদালতে পরীমনি-ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমণি, প্রযোজক রাজ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) বিভাগ।

শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের পৃথক দুটি মামলা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরীমনি ও রাজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বৃহস্পতিবার বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরীমণির সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, বুধবার রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজতি প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, পরীমণির বাসায় একটি মিনি বার ছিল এবং সেখানে নিয়মিত পার্টির আয়োজন করা হতো। ওইসব পার্টিতে রাজ এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ এবং নানা ধরনের মাদক সরবরাহ করত।

এসব কাজে শরীফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান নামে দুজন সহায়তা করত বলে র‍্যাবের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

মিশু এবং জিসানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার বনানী এলাকায় একাধিক অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় পরীমণি, তার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম এবং রাজ ও তার ম্যানেজার সবুজ আলীকে।

র‍্যাব পরিচালক মঈন জানান, পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৩ বোতল বিদেশি মদ, ১৫০টি খালি মদের বোতল, ইয়াবা, এলএসডি এবং আইস উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় রাজ নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট ডিজে পার্টির আয়োজন করে তার আড়ালে অবৈধ মাদক সরবরাহ করত। ওইসব পার্টিতে সাধারণত অভিজাত শ্রেণির লোকজনের যাওয়া-আসা ছিল।

গত ৮ জুন ঢাকা বোট ক্লাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিচার চেয়ে একটি পোস্ট দেন পরীমণি। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। ১৪ জুন তিনি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি ব্যবসায়ী নাছির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

ওই মামলায় নাছিরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, ঘটনার সময় পরীমণি ও তার সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় ঢাকা বোট ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন।

১৬ জুন অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কেএম আলমগীর অভিযোগ করেন, পরীমণি এবং তার বন্ধুরা ৭ জুন তার ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: