ঢাবি অধ্যাপক কার্জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সময় ট্রিবিউন | ৩ আগষ্ট ২০২১, ০৫:৩৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে৷

বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গতকাল রোববার অধ্যাপক কার্জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহফুজুল হক ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ এর আগে অমিত ভৌমিক শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখাটি মুছে ফেলে ক্ষমা চান৷

এজাহারে বলা হয়, হাফিজুর রহমান কার্জন মানহানিকর সর্বোপরি সনাতন ধর্মের ভগবানকে নিয়ে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন৷ যেটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল এবং সরকারকে বিব্রত করার মানসে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন৷

এবিষয়ে অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘আমি কৌতুক করে লিখলেও সেটি যদি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করে থাকে, তাহলে সেটি কোনোভাবেই ঠিক হয়নি৷ আমার লেখা যে তাদের অনুভূতিতে আঘাত করবে, সেটি আমার অজানা ছিল৷ অবগত হওয়ার পর আমি নিজেই ক্ষমা চেয়েছি এবং লেখাটি মুছে ফেলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গল্প, চলচ্চিত্র এবং গানে অনেক সময় অনেক কিছু রূপক অর্থে ভগবানের সঙ্গে তুলনা করা হয়৷ সে অর্থে আমার স্ট্যাটাসটি কৌতুক করে লেখা ছিল৷ তবে এর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করেছি, ভুল স্বীকার করেছি৷ এরপরেও মামলা করা হয়েছে৷ আমি মনে করি, আমাকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে অহেতুক মামলা করা হলো৷ আমি যদি লেখাকে সমর্থন করতাম, তাহলে মামলা করা যেত।’

তিনি বলেন, ‘আমি আইনের শিক্ষক হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি৷ সুস্থ হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করব৷ আদালত যে রায় দেবে সেটি মেনে নেবো।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: