বাবুনগরী ও মামুনুলসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতি তদন্তে দুদক

সময় ট্রিবিউন | ১৯ মে ২০২১, ২১:১৭

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হক-ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ অর্ধশত নেতার বিরুদ্ধে সংগঠনের তহবিল আত্মসাত ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের তহবিল, বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা এবং ধর্মীয় কাজে আগত বৈদেশিক সহায়তা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের গোয়েন্দারা।  

এদিকে যাচাই-বাছাইয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কমিশন গত ১৭ মে দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম গঠিত হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে বলেন, হেফাজতের শীর্ষ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উৎস থেকে অনেকগুলো অভিযোগ জমা পড়ে। সেসব অভিযোগ ও আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কমিশন থেকে সম্প্রতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে একটি অনুসন্ধান টিমও গঠিত হয়েছে। অনুসন্ধানের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬ সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিমের বাকি সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ ও মো. সাইদুজ্জামান এবং উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।

তবে সংগঠনটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। এমন অভিযোগ সামনে রেখে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের একাধিক কর্মকর্তা।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হুসাইন কাসেমী, মামুনুল হকসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে। সেখানে তাদের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। যার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেটি আমলে নিয়েছে কমিশন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: