বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেওয়া হয়। রাতে তিনি ডিবির হাজতে থাকবেন।
অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুর অর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের একটি বাসা থেকে কিছুক্ষণ আগে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে নাশকতার মামলায় বিএনপির আরও দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।
সূত্র জানায়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় আমির খসরুকে আসামি করা হয়েছে।
খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই দিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ।
তবে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হন। পরে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নয়া পল্টনের স্টেজে ছিলেন আমীর খসরু। তবে সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
সমাবেশের পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি ও জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। ওই দিন রাজধানীতে ও লালমনিরহাটে দুজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৩ দিনের অবরোধ পালন করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: