অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধের নীতিমালাকে আইনের অংশ ঘোষণা হাইকোর্টের

সময় ট্রিবিউন | ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২১:৩৪

সংগৃহীত

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে হাইকোর্টে। এই রায়ের ফলে নীতিমালাটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশনের নিবারণের লক্ষ্যে গাইড লাইন তৈরি এবং ৬ মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে বলেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য।


নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হাইকোর্টের আরও একটি রায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।


২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম রোধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: