রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছকাটা ও দোকান নির্মাণের কার্যক্রমের ওপর সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সাময়িক স্থগিত চেয়ে করা আদালত অবমাননার আবেদনটি শুনানির জন্য ২০ মে দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এ সময়ে যাতে গাছকাটা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আরও ৫০টি গাছ কাটা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। আরও ৫০টি গাছ কাটা হবে। কাটা গাছগুলোর জায়গায় ১০০টি গাছ লাগানো হবে। মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
‘আদালতের রায় উপেক্ষা করে’ উদ্যানে গাছ কাটায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর আনা ‘আদালত অবমাননার’ অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘২০ তারিখে আবেদনটি শুনানির জন্য আসবে। আপনি মৌখিকভাবে বলে দেবেন এ সময় পর্যন্ত যেন গাছ না কাটে। আপাতত যেন গাছ না কাটে।’
এর আগে রোববার (৯ মে) আদালতের নির্দেশনার বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য গাছ কাটায় সরকারের এক সচিবসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়। একইসঙ্গে গাছকাটা বন্ধ করে রেস্টুরেন্টের কার্যক্রম স্থগিত এবং যে নকশার ভিত্তিতে এ কার্যক্রম করা হচ্ছে তা আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: