যশোর সদর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারত ফেরত ১০ জনের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ায় সোমবার তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ভারত ফেরত করোনা আক্রান্ত কিছু পাসপোর্টধারী যাত্রী যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে ভারত ফেরত সাতজন করোনা আক্রান্ত ও স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত তিনজনসহ মোট ১০ জন পালিয়ে যান। বিষয়টি ২৬ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ওই দিন দিবাগত রাতের মধ্যে পলাতক সকলকে শনাক্ত করে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ ঘটনায় গত ৮ মে যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২৫ (২) ধারায় পলাতকদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার সকালে পুলিশ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ভারতফেরত ও স্থানীয় ১০ জন করোনায় সংক্রমিত রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানায়। এরপর আদালতে আবেদন দাখিল করা হয়। রোববার আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন।
সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে সাতজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। এ ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অপর তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতার সাতজন হলেন ভারতফেরত যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের স্ত্রী মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭) এবং যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯)।
এ ছাড়া ভারতফেরত সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: