ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ৩০ আগস্ট করেছেন আদালত।
দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ তারিখ ধার্য করেন। এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় নতুন এ তারিখ ধার্য করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন। অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায়। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, এস কে সিনহা তার ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪ এ স্থানান্তর করেন। পরবর্তীতে রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করেন। দুদকের অনুসন্ধানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: