নোয়াখালীতে ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দুই আসামিকে ৩৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারী পোস্ট মাস্টার মো. মুনির চৌধুরী শহিদ ও ডিপিএমজি কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (৮ জুন) দুপুর ১টার ১৫ মিনিটের দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।
জেলা দুদক সূত্রে জানা যায়,নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরে কর্মরত থাকাকালীন ৭টি কর্মদিবসে ৫৪টি ইলেকট্রনিকস মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে তাঁদের তিন আসামিকে পৃথক পৃথক ধারায় এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি মুনির চৌধুরী শহিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। রায়ে আসামি রীনা রানী মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ৭বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১৮ লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং মুনির চৌধুরী শহিদকে ৫বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান অভিযুক্ত আসামিদের বিভিন্ন ধারায় মোট ১৯ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৮ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত মুনির চৌধুরী শহিদের রায় শেষে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিপি আরো জানায়,দণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর প্রধান ডাক বিভাগে কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৭ কর্মদিবসে নিজেদের মধ্যে যোগসাজশের মাধ্যমে ৫৪টি ইলেকট্রনিকস মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার এস.এম.সহিদ উল্যাহ। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য থানা থেকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক নাছির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে এই কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: