ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরীকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাঁর স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (প্রসিকিউশন) উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ইফতেখারকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরীকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বাবা ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় এলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, তাঁর মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ইফতেখারকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে এলমাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। সুরতহালে এলমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে এলমার সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইফতেখার ও তাঁর মা-বাবা এলমাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন।
এলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তাঁর মা-বাবা মিলে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান। এরপর ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরেন ইফতেখার। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর এলমার মায়ের মুঠোফোনে কল করে ইফতেখার বলেন, তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য গুলশানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আসতে বলেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মামলায় আরও অভিযোগ করেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহজনক আচরণ দেখে মেয়ের লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এ সময় এলমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন পাওয়া গেলে তিনি মামলা করেন। এজাহারে তিনি বলেছেন, তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে এলমাকে মারধর করে হত্যা করেছেন।
তবে এলমার স্বামী ইফতেখারের আইনজীবী জিল্লুর রহমান আদালতে বলেন, এলমাকে হত্যা করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: