বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সফল নায়ক প্রয়াত সালমান শাহ’র “বাবা বলে ছেলে নাম করবে, সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে,শুধু একথা কেউ জানে না আগামী দিনের ঠিকানা” এই গানটি আমরা কম বেশি সকলেই শুনেছি। এটা অমোঘ সত্যি,আগামীদিনের ঠিকানা কী হবে সেটা আমরা কেউ-ই জানি না। তবে সেই ঠিকানা কোথায় হবে সেটা নির্ভর করছে আমাদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনার উপর। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে ‘ক্যারিয়ার’ বা ‘বাবা বলে ছেলে নাম করবে’ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েননি এমন তরুন-তরুণী খুঁজে পাওয়া যাবে না। কে কোন কর্মক্ষেত্র বেছে নেবেন বা কোন জায়গাটা তার জন্য পারফেক্ট এ নিয়ে দুশ্চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খান দেশের লাখ লাখ তরুন-তরুণী।
দুশ্চিন্তার এই সাগর থেকে তীরে উঠতে চাইলে যেটি সবার প্রথমে দরকার সেটি হলো ক্যারিয়ার বিষয়ক একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা। আমাদের দেশের অনেক ছেলেমেয়েরা এখনও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন না। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেকটা সময় কেটে যায় আড্ডা- গল্প গুজবের মধ্য দিয়ে। তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হোন তখনই তাদের মাঝে আসে ক্যারিয়ার সচেতনতা। তাদের জীবনের সামনে ধ্রুব সত্য হয়ে আসে ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা’ প্রবাদ বাক্যটি।
অনেকে হয়ত সময় স্রোতের অববাহিকায় নিজের হালটা শক্ত হাতে ঠিকভাবে ধরে রাখতে পারেন, অনেকেই হয়ত খড়কুটোর মত ভেসে যায়। সারা পৃথিবী তাকে মনে রাখবে- এমন চিন্তাটি বদলে যেতে থাকে বিভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে। একসময় তার পরিবার ছাড়া তাকে হয়ত কেউ-ই মনে রাখে না। তাই ক্যারিয়ার সচেতন হোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বা ৩য় বর্ষ থাকাকালীন সময়েই। আপনি যে ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গুছাতে চান সে কাজের ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা কতটুকু সেটি আগে জানুন। প্রয়োজনে আপনার অগ্রজদের সঙ্গে আলোচনা করুন। কারণ অভিজ্ঞতার একটা দাম বরাবরই আছে। আপনার জ্ঞান-দক্ষতা ও অগ্রজদের পরামর্শ নিয়ে পছন্দ করুন আপনার জন্য একটি মানানসই ক্যারিয়ার আর নিজেকে তুলে ধরুন একজন সফলতম ব্যক্তি হিসেবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: