ভারতে সরকারবিরোধী পোস্ট সরাল টুইটার

সময় ট্রিবিউন | ২৫ এপ্রিল ২০২১, ২২:২৬

ছবিঃ ইন্টারনেট

ভারত সরকারের নির্দেশে করোনা নিয়ে সরকারবিরোধী পোস্ট সরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার।করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারত সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করা এ সব টুইট বার্তা সরিয়ে নিতে আইনি নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ পদক্ষেপ নেয় টুইটার।খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

সরকারি হাসপাতালের করুণ দশা, অক্সিজেন সংকট ও করোনা রোগীদের চিকিৎসার করুণ অবস্থা নিয়ে এমপি থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতারা পর্যন্ত সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছেন।

টুইটারের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানান, ভারত সরকারের আইনি অনুরোধের ভিত্তিতে বেশ কিছু টুইটবার্তা আটকে দেওয়া হয়েছে।টুইটার জানায়, সরকারের সমালোচনামূলক কিছু টুইটবার্তা সরিয়ে নিতে নয়া দিল্লি একটি তাৎক্ষণিক নির্দেশ জারি করে।

২৩ এপ্রিল ভারত সরকারের এ সংক্রান্ত আইনি নির্দেশনা পায় টুইটার। এসব টুইট বার্তার মধ্যে রেভনাথ রেড্ডি নামের একজন আইন প্রণেতা, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং অবিনাশ দাস নামের এক চলচ্চিত্র নির্মাতার টুইটও রয়েছে।

সরকারি অনুরোধপত্রে ভারতের ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কথা উল্লেখ করা হয়। এক বিবৃতিতে টুইটারের মুখপাত্র বলেন, আমরা যখন একটি বৈধ আইনি অনুরোধ পাই, আমরা সেটি টুইটারের নীতিমালা ও স্থানীয় আইনের নিরিখে পর্যালোচনা করি।

কোন পোস্ট যদি টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গ করে, তাৎক্ষণিকভাবে তা সরিয়ে ফেলা হয়। যদি সেটা টুইটারের নীতিমালা ভঙ্গ না করে, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট আইনি এলাকার আইনে বেআইনি বিবেচিত হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা শুধু ওই এলাকা, অর্থাৎ ভারত থেকে ওই টুইটবার্তায় প্রবেশ বন্ধ করে দিই।

মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, টুইটবার্তা আটকে দেওয়ার বিষয়টি অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তিদের তারা সরাসরি জানিয়েছেন এবং এটাও জানিয়েছেন টুইটবার্তাটি বন্ধ করে রাখার বিষয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানকে আইনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রযুক্তি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট টেকক্রানচ এর আগেই ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা জানায়, এই নির্দেশ শুধু টুইটার একাই পায়নি।

ভারতের স্বাস্থ্য দপ্তর শনিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে সেখানে। করোনা নিয়ে এমনিতেই নাস্তানাবুদ অবস্থা ভারতের, তার ওপর সমালোচনার ঝড় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই ভোগাচ্ছে দেশটির সরকারকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: