যুক্তরাষ্ট্রে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২১ বছর বয়সী মুসলিম তরুণী নাফিয়া ইকরাম। নিউইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ড এলাকায় গত ১৭ মার্চ এ হামলার ঘটনা ঘটলেও তা শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও এনবিসি নিউজের খবরে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার দিন নাফিয়া ও তাঁর মা তাঁদের গাড়ি থেকে নামতে গেলে অজ্ঞাত হামলাকারী নাফিয়ার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। হোফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল শিক্ষার্থী নাফিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসিডে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই মুসলিম তরুণীর মুখ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায় এবং তিনি অন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হন।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) এক বিবৃতিতে বলেছে, মুখ, চোখ, ঘাড় ও দুই হাতে পোড়া ক্ষত নিয়ে নাফিয়াকে ১৫ দিন হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। এসিড হামলার সময় এই মুসলিম তরুণী চিৎকার করলে তাঁর মুখের মধ্যে এসিড ঢুকে গেলে তিনি শ্বাসকষ্টেও ভোগেন। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসে তাঁর মা-বাবা আহত হন।
নাফিয়া করিমের চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর জন্য অনলাইনে আহ্বান করা গণতহবিলে তিন লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।
তবে হামলার একমাস পার হয়ে গেলেও নিউইয়র্ক পুলিশ সন্দেহভাজন হামলাকারীকে এখনও ধরতে পারেনি। হামলাকারী সম্পর্কে তথ্য পেতে ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
ভারতীয়-আমেরিকান নারী লেখক পদ্ম লক্ষী তাঁর ইনস্টাগ্রামে নাফিয়াকে নিয়ে পোস্ট করেন। পরে তা ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি মুসলিম-বিদ্বেষী হামলা বেড়ে গেছে। এজন্য বিশ্লেষকদের অনেকেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী নীতি ও আচরণকে দায়ী করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: