সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের পর এবার ভারত থেকে যাওয়া বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেই আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি। তবে ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞার এই তালিকায় ভারতের সঙ্গে উত্তর আমেরিকার এই দেশটি পাকিস্তানকেও রেখেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজ।
কানাডা সরকার জানিয়েছে, আগামী ৩০ দিনের জন্য ভারত ও পাকিস্তান থেকে সকল বিমানের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। এই অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নির্দেশনা।
ভারতে করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। এছাড়া ভারতে শনাক্ত করোনার নতুন অতিসংক্রামক ধরনটিও আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বেই। এর আগে একই কারণে ভারত থেকে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এবার কানাডাও একই পদক্ষেপ নিলো। এছাড়া টিকা নিলেও ভারত ভ্রমণে না যেতে নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, শনিবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে আগামী ১০ দিনের জন্য আরব আমিরাতে প্রবেশে ভারতীয় বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ১০ দিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নেবে দেশটি।
এমনকি ট্রানজিট ভিসার যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। কেবল ইউএই নাগরিক, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তি আর সরকারি কর্মকর্তারা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। তবে ভারত থেকে বিমান ও যাত্রী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও আরব আমিরাত থেকে ভারতে বিমান অবতরণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এদিকে, শুক্রবার থেকেই ভারতীয় বিমানযাত্রীদের লাল তালিকাভুক্ত করছে ব্রিটেন। ভারতে করোনা মহামারির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। এমনকি শুক্রবারের আগপর্যন্ত ভারত থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অতিরিক্ত বিমান অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৭ হাজার বেশি। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ১০২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও শুক্রবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬৩ জনে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জনে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: