কাবুল থেকে বিদেশি নাগরিক ও মিত্রদের সরিয়ে নেওয়ার ৩১ আগস্টের সময়সীমা শেষের মুখে। এর মধ্যেই ২৬ আগস্ট বিমানবন্দর এলাকায় আইএসের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করে তালেবান। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এয়ারপোর্ট প্রায় ঘিরে ফেলে দলটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বিমানবন্দরের আশপাশে আরও কয়েক স্তরের তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবান। লোকজনের জটলা এড়াতে চেক পয়েন্টগুলোয় সশস্ত্র যোদ্ধাদের মোতায়েন করা হয়েছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হামভি এবং নাইট-ভিশন চশমা পরে পাহারা দিচ্ছে তালেবানের নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশিরভাগ মানুষকে তারা এসব চেকপোস্ট পার হতে দিচ্ছে না।
বিমানবন্দর এলাকাকে কেন্দ্র করে তালেবানের অবস্থান জোরদারের সমান্তরালে কমে আসছে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি। গত সপ্তাহে সেখানে ৫ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনা থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৪ হাজার সেনাসদস্য। বাকিদের এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় সামনের কয়েকদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কাবুল বিমানবন্দরে আরেকটি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার তিনি বলেছেন, সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন, রবিবারই এ হামলা হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কমান্ডাররা আমাকে জানিয়েছেন আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। আমি তাদেরকে বাহিনীর সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
‘সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি’ থাকায় মার্কিন নাগরিকদের বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
দুই সপ্তাহ আগে বিমানে করে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আফগান ও বিদেশি নাগরিক মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: