যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান ছাড়ার কারণ কি

সময় ট্রিবিউন | ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০১:৪৮

ছবি: ইন্টারনেট

আফগানিস্তানে বিবিসির সংবাদদাতা সেকান্দার কেরমানি বলছেন, অনেকেই মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত তালেবানকে চাঙ্গা করবে। যদিও এটি তালেবানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতার চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি। তবে এ অল্প সময়ের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলা করবে, এমন সম্ভাবনা কম

তিনি আরও বলেন, তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তালেবান হয়তো সেনা প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তারপরই বিজয় অর্জন কিংবা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাবে। তখন আফগান সরকারের পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। কারণ তালেবানকে প্রতিহত করতে আফগান সরকার এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার ওপর নির্ভরশীল।

কাবুলে ইনস্টিটিউট অফ ওয়ার অ্যান্ড পিস স্টাডিজের নির্বাহী সভাপতি তামিম আসে সতর্ক করে বিবিসিকে বলেন, ‘সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ঘোষণার ফলে একটা রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে আফগান দলগুলোর ওপর চাপ তৈরি হবে। অনথ্যায় সিরিয়ার মতো রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে।’

সেনা প্রত্যাহারের দিন ঘোষণা করে বুধবার (১৪ এপ্রিল) বাইডেন বলেন, এখনই সময় আমেরিকান সেনাদের দেশে ফিরে আসার। চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সেনাদের ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। দুজন রিপাবলিকান ও দুজন ডেমোক্র্যাট এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্তু আমি এটি পঞ্চমজন পর্যন্ত যাক, তা চাই না।

বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। সিনেটের মিথ ম্যাকননেল এ সিদ্ধান্তকে ‘মারাত্মক ভুল’ আখ্যায়িত করেছেন। তবে টেক্সাস সিনেটর ট্রেড ক্রুজ ও মিসৌরি সিনেটর জস হাওলে সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: