যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কোনো ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি ছাড়া আফগানিস্তান থেকে গণ প্রত্যাহার সম্ভব নয়।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইতিমধ্যে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া দেশটি থেকে ১৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। যা ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম ও সংকটপূর্ণ আকাশপথে মানুষ সরিয়ে আনার ঘটনা।
বাইডেন জানান, এ প্রত্যাহার তালেবানদের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়নি। তবে তার প্রতিরক্ষা সচিব এর বিপরীত মত দেন।
মে মাসে আফগানিস্তানের ২০ বছরের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েক মাসের মাথায় দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিল তালেবান যোদ্ধারা। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন।
সংকট মোকাবিলায় নিজের ছুটি কাটছাঁট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, যে সব আমেরিকান বাড়ি ফিরতে চান, তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া স্থানীয় ৫০-৬৫ হাজার মিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রে আনাতে সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতি রাখবে। আমেরিকানদের ফেরত আনার আগে এটি অগ্রাধিকার ছিল।
নিজ দেশের নাগরিক ও আফগান মিত্রদের সরিয়ে আনা বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। কঠিন পরিবেশে মার্কিন সেনারা ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে বা ক্ষতির ঝুঁকি ছাড়া হবে কিনা আমি বলতে পারি না। তবে কমান্ডার ইন চিফ সাধ্যমতো সবকিছু করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
কাবুলে আটকে পড়া আমেরিকানদের জন্য সেনা পাঠানোর দরকার হবে না উল্লেখের পর দাবি করেন, তালেবানরা মার্কিন পাসপোর্টধারীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
এ দিকে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কাবুল বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারা দেড় শতাধিক আমেরিকানকে উদ্ধারে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো নিজেদের নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে গিয়েও লোকজনকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমেরিকান বাহিনীর ইচ্ছা ও সামর্থ্যরে প্রমাণ পাওয়া গেল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: