করোনাভাইরাসে কোণঠাসা ভারত। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিদিন লাখের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ছয়মাসে দেশটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০২৭ জন, যা গত ৬ মাসের মধ্যে রেকর্ড মৃত্যু।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারসের বুধবার সকালের তথ্যনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮ জন শনাক্ত হয়েছে যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।একই সময়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজারের বেশি সংক্রমণ নিয়ে বৈশ্বিক তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। অবশ্য মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ মানুষ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রে আগামী ১৫ দিনের জন্য জারি করা হয়েছে জনতা কারফিউ। করোনা সংক্রমণ রুখতে বুধবার রাত ৮টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে গোটা রাজ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, ‘গত বছরের থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ...আর সময় নষ্ট করা সম্ভব নয়। এবার সমস্ত পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে।’সংক্রমণ বিবেচনায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
এদিন দিল্লিতেও সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৪৬৮ জন শনাক্ত এবং ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় টিকাদান কর্মসূচি আরও জোরদারের কথা ভাবছে ভারত সরকার। প্রয়োজনে রাশিয়ার প্রস্তুত করা স্পুটনিক টিকাও আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।মঙ্গলবার ভারতে ২৬ লাখ ৪৬ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উত্থান। এটি বিশ্বের ২১৩ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এটিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: