ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে রাজ্য বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তৃণমূলের দাবি, নিহতদের সবাই তাদের সমর্থক।
শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে।
সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করে। অন্যদিকে, আনন্দ তাদের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল।
এ ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)।
তৃণমূল কর্মীরা বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী আমার শত্রু নয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় যে চক্রান্ত চলছে, তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের গুলি করে মেরে দেয়া হয়েছে।
কোচবিহারের সভায় তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরার পরামর্শ না দিলে, মানুষ উত্তেজিত হতেন না আর গুলিও চলত না বলে দাবি করেছেন তারা।
কিন্তু মমতার বক্তব্য, বিজেপি জানে হেরে গিয়েছে। তাই ভোটারদের গুলি করে মারছে। তবু মানুষকে বলব, আপনারা শান্ত থাকুন। নির্বিঘ্নে ভোট দিন। কোনো অশান্তির মধ্যে যাবেন না। যারা অশান্তি করে, তারা রাক্ষসের দল। যারা শান্তি রক্ষা করে, তারা মানুষ। মানুষকে মানবিকতা দিয়েই জয় করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: