সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেকর্ড সংখ্যক হারে। চলার পথে নারীদের নিরাপত্তাহীনতার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল। এমন অবস্থায় ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাক কে দায়ি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, ''নারীরা যদি স্বল্পবসন পরেন, তাহলে পুরুষরা রোবট না হলে সেটা তাদের উপর প্রভাব ফেলবে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।''
ইরমান খানের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছাড় দিচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। পাকিস্তানের সাংবাদিকরাও দেশের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তানে বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনার কারণ হিসেবে নারীদের অশ্লীলতাকে দায়ী করেছিলেন ইমরান। ইমরানের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে লিখিত ভাবে তার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল পাক নাগরিকরদের একটি অংশ।
পাকিস্তানের প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বলে উল্লেখ করেছে একটি বেসরকারী সংস্থা। গত ছয় বছরে এ জাতীয় প্রায় ২২ হাজারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে পাকিস্তানে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার অত্যন্ত কম, অপরাধীরা কোন না কোন ভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে মোট ঘটনার ০.৩ শতাংশকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে, যা নিতান্তই কম।
গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠনের অনুমোদন করেছিলেন। এছাড়াও ধর্ষণবিরোধী অর্ডিন্যান্স ২০২০ ও অনুমোদন হয়েছিল। সেই আইনে এই জাতীয় মামলা চার মাসের মধ্যে যথাযোগ্যভাবে শুনানি ও সম্পন্ন করার আইনি আদেশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: