চীনকে চাপে রাখতে নানা তৎপরতা চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনও হাঁটছেন ট্রাম্পের দেখানো পথে। ট্রাম্প আমলে ৩১ চীনা প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার সে তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও ২৮ প্রতিষ্ঠান।
চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাম্পের দেখানো পথ ‘চাপে রাখার’ নীতি বাইডেন যে অনুসরণ করছেন, এ পদক্ষেপ তারই ইঙ্গিত বহন করে।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের ২৮ প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে মার্কিন নাগরিকরা বিনিয়োগ করতে পারবেন না। এর আগেও ৩১ চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ— চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের। মূলত চীনকে চাপে রাখতেই এই নিষেধাজ্ঞা।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, এমন প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার আগেই চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছে রেখেছেন, নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে চীন।
চাপ অব্যাহত রাখতে চীনের আরও ২৮ প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করে বাইডেন বুঝিয়ে দিলেন হুমকিকে ‘থোড়াই কেয়ার’ করেন তিনি।
বাইডেনের নতুন নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, চীনের যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীনও পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় আইন মোতাবেক এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: