দিল্লিতে স্মরণকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

সময় ট্রিবিউন | ৩০ মে ২০২৪, ০৩:১০

ছবি-সংগৃহীত

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বুধবার এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিল্লির মুঙ্গেশপুরের একটি তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এদিন বেলা আড়াইটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) আঞ্চলিক প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘রাজস্থান রাজ্যের মরুভূমি এখান থেকে খুব কাছে হওয়ায় গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়।’

তিনি বলেন, তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এই বৃদ্ধিটা ধারণার মধ্যেই ছিল। তবে মঙ্গলবার ও বুধবার নয়াদিল্লির এই তাপমাত্রা প্রত্যাশার চেয়েও নয় ডিগ্রি বেশি। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এটি রেকর্ড তাপমাত্রা। এর আগে ২০০২ সালে নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা রেকর্ড ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের অন্য অনেক এলাকার মতো দিল্লিতেও অল্প সময়ের জন্য কিছু বৃষ্টি হয়েছে। তবে তাতে গরমের মাত্রা কমেনি। বরং এতে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গরমে জনদুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।

ভারতের রাজধানী দিল্লির জনসংখ্যা তিন কোটির বেশি। আইএমডি দিল্লির জন্য একটি লাল সতর্কতা স্বাস্থ্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, ‘রেকর্ড এই তাপমাত্রায় সব বয়সী মানুষেরই তাপজনিত অসুস্থতা এবং হিট স্ট্রোক হওয়ার খুব বেশি আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য বিশেষত অরক্ষিত ব্যক্তিদের জন্য এই গরমের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।’

গ্রীষ্ম মৌসুমে উচ্চ তাপমাত্রার ভারতের জন্য অপরিচিত নয়। তবে বছরের পর বছর ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপপ্রবাহ দীর্ঘ, আরও ঘন ঘন এবং আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লিতে তীব্র গরমে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট। কারণ প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে আরও বেশিসংখ্যক বাসিন্দা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রাখছে।

রেকর্ড এই তাপমাত্রায় নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ পানি সংকটের আশঙ্কার কথা বলেছে। নয়াদিল্লির কিছু কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বুধবার জানিয়েছে, পানির অপব্যয় বন্ধ করতে পানিমন্ত্রী আতিশি মারলেনাকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর- পানিমন্ত্রী অতিশি বলেছেন, ‘পানির ঘাটতি মোকাবেলায় আমরা বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এর অংশ হিসবে অনেক এলাকায় পানি সরবরাহ দিনে দুবার থেকে কমিয়ে দিনে একবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

‘এভাবে সংরক্ষিত পানি রেশন করা হবে এবং যেসব এলাকায় সরবরাহ দিনে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট স্থায়ী হয় সেখানে পানির ঘাটতি পূরণে সরবরাহ করা হবে।’

আইএমডি জনস্বাস্থ্যের ওপর গরমের প্রভাব সম্পর্কে বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত তাদের সতর্ক করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: