যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে আঘাত হেনেছে শীতকালীন ঝড়। শুক্রবার আঘাত হানা ঝড়ের কারণে ২ হাজারেরও বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া মিশিগান এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের আড়াই লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার ৭ হাজার ৬শ’ টিরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। মধ্যপশ্চিম ও দক্ষিণে ফ্লাইট বিলম্ব এবং বাতিলের কারণে শত শত যাত্রী মার্কিন বিমানবন্দরে আটকা পড়েন। বাতিল হয়ে পড়া ও বিলম্বে ছাড়া ফ্লাইটগুলোর ৪০ শতাংশ মধ্যাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ইলিনয়সের রাজধানী শিকাগোর বিভিন্ন বিমানবন্দরের। বাকি ৬০ শতাংশ ফ্লাইট দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই অঙ্গরাজ্য কলোরাডোর রাজধানী ডেনভার এবং উইসকনসিনের মিলওয়াউকি শহরের বিমানবন্দরগুলোর।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার আউটেজেস ডট ইউএস এর তথ্য মতে, শুক্রবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৭৭টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর উইসকনসিনে বিদুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এক লাখ দুই হাজার ৬৯৪ জন গ্রাহক।
মধ্য আটলান্টিকে সৃষ্ট ঝড়টির তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। ঝড়টির তাণ্ডবে নিউ হ্যাম্পশায়ার ওহাইয়োতে প্লাবিত হয় একাধিক শহর।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতেও আঘাত হানবে ঝড়টি। মিনেসোটা ও এর আশপাশের অঙ্গরাজ্যেও আঘাত হেনেছে তুষারঝড়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নর্থ ও সাউথ ডাকোটা এবং কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের শতাধিক স্কুল। ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মিনিয়াপোলিসসহ কয়েকটি শহরে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে। আর ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে।
চলতি সপ্তাহের এই ঝড়টি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আঘাত হানা ঝড়ের মতো প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: