চীনের হুমকির মুখেই তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:০৯

চীনের হুমকির মুখেই তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

চীনের হুমকির মধ্যেই লাখ লাখ তাইওয়ানবাসী শনিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করেছেন। চীন বলেছে, জনগণ তাদের নেতা নির্বাচনে ভুল করলে যুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তেকে একজন ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করেছে চীন। এ ছাড়া দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাইওয়ানিদের স্বাধীনতার লক্ষ্যে অভিযাত্রাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। খবর এএফপির।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান। তবে একত্রীকরণের লক্ষ্যে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীন সেখানে শক্তি প্রয়োগ করা হবে না, এমন সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেয়নি। আর এক্ষেত্রে সহসাই সংঘাত শুরু হবে তা-ও মনে করা হচ্ছে না।

আজ সকাল ৮টা থেকে তাইওয়ানজুড়ে ১৮ হাজার নির্বাচনি কেন্দ্রে ভোট দিতে শুরু করেছেন প্রায় দুই কোটি ভোটার।

তাইপের একটি ভোটকেন্দ্রে ৫৪ বছর বয়সী কারেন ছিলেন লাইনের প্রথম ভোটার। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে কোনো কিছু নিয়ে এত উত্তেজনা বোধ করিনি। কেননা আমার মতে, একজন প্রার্থী আছেন যিনি তাইওয়ানের ভবিষ্যতের বিষয়ে আশার আলো দেখাতে পারে।’

এ ছাড়া নিউ তাইপে সিটির একটি ভোটকেন্দ্রে ৭০ বছর বয়সী লিউ বলেন, ‘আমি আশা করি, সামনের প্রশাসন বর্তমান প্রশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই চলবে।’

তাইওয়ানের নির্বাচনি আইন খুব কঠোর, আর এতে গণমাধ্যমগুলো নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোনো প্রশ্ন ভোটারদের করতে পারে না। শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এই ফলাফলের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে বেইজিং ও ওয়াশিংটন। এই দুই পরাশক্তি কৌশলগভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া।

নির্বাচনি প্রচারণায় তাইওয়ানের ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) লাই চিং-তে নিজেকে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক জীবনধারার রক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেন। শুক্রবার তার শেষ নির্বাচনি সমাবেশে লাই বলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হই, তবে গণতন্ত্র ও শান্তির পথে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিরোধী কৌউমিনতাং (কেএমটি) দলের হোই ইউ-ইহ্ নির্বাচিত হলে চীনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া কেএমটি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: