গাজার আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ‘রক্তস্নাত’: ডাব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪২

সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলীয় আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগটি ‘রক্তস্নাত’ অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, হাসপাতালের মৌলিক পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন।

রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোর একটি দল শনিবার ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের বৃহত্তম এই হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।

সেখানে পানীয় জল ও খাবারের ‘চরম সংকট’ রয়েছে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয়ের জন্য হাসপাতাল ভবন ও প্রাঙ্গন ব্যবহার করছে।’

ভিতরে শত শত আহত রোগী এবং প্রতি মিনিটে নতুন রোগী আসছে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ‘রক্তস্নাত’। সংস্থাটি আরো জানায়, সেখানে ব্যাথা নিয়ন্ত্রনের কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেই। ‘ট্রমা ইনজুরিতে আক্রান্ত রোগীদের মেঝেতে সেলাই করা হচ্ছে।’
অত্যন্ত স্বল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে হাসপাতালটি ন্যূনতম মাত্রায় সেবা দিচ্ছে। ডাব্লিউএইচও জানায়, ‘গুরুতর রোগীদের সার্জারির জন্য আল-আহলি আরব হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’ প্রতিদিন মাত্র ৩০ জন রোগীর ডায়ালাইসিস-এর ব্যবস্থা রয়েছে।

অক্সিজেন ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের অভাবে অপারেশন থিয়েটারগুলো কাজ করছে না। ডাব্লিউএইচও দলের মতে, হাসপাতালটির পুনর্গঠন প্রয়োজন।
ডাব্লিউএইচও জানায়, এটির মৌলিক পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য আসন্ন সপ্তাহগুলিতে আল-শিফাকে শক্তিশালী করবে।
ডব্লিউএইচও জানায়, প্রয়োজনীয় কর্মীসহ হাসপাতালের ২০টি অপারেশন থিয়েটার, সেইসাথে নিয়মিত জ্বালানী, অক্সিজেন, ওষুধ, খাবার ও পানি সরবরাহের মাধ্যমে অপারেশন পরবর্তী পরিষেবাগুলো সক্রিয় করা যেতে পারে।

বর্তমানে গাজা উপত্যকার সমগ্র উত্তরে, আল-আহলি আরব একমাত্র হাসপাতাল যেটি ‘আংশিকভাবে কাজ করছে’। আল-শিফা, আল আওদা ও আল সাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্স তিনটি হাসপাতাল সর্বনিম্ন সেবা দিচ্ছে।

কামাল আদওয়ান হাসপাতাল সম্পর্কে ডব্লিউএইচও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ১৩ ডিসেম্বর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ হাসপাতালটির রোগীর কক্ষে গুলি চালিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: