খরার পর ভয়ংকর বন্যার কবলে কেনিয়া, ১২০ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৩

সংগৃহীত ছবি

প্রায় চার দশক লড়াইয়ের পর খরা থেকে মুক্তি পেয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। কিন্তু এখন তাদের সামনে নতুন দুর্যোগ। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশটি, প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২০ জন

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেনিয়ায় সমানে বৃষ্টি পড়ছে। তার ফলে বিশাল এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেমন্ড ওমোলো জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ১২০ জন মারা গেছেন।

ত্রাণ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, কয়েক হাজার বাড়ি ভেসে গেছে বা ডুবে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমি চলের তলায় চলে গেছে। প্রচুর পশুর মৃত্যু হয়েছে। ৯০ হাজার বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য ১২০টি আশ্রয়শিবির খোলা হয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, এল নিনোর প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি পড়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পরিকাঠামো ও সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। কেনিয়া-জুড়ে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এল নিনোর জন্যই কেনিয়ায় এই ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে।

এল নিনো আবহাওয়ার কারণে হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার ঘটনা ঘটে। এল নিনো হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি একটি জলবায়ুর ধরন। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের সঙ্গে যুক্ত এল নিনোর এই চক্র স্থানীয়ভাবে খরা ও ক্ষুধার পাশাপাশি প্রাণিবাহিত রোগ বাড়াতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।

এল নিনো হলো সাউদার্ন অসকিলেশন (ইএনএসও) নামক আবহাওয়ার ধরনের দুটি অংশ, যা ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বাতাসের ধরন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার একটি অনিয়মিত কিন্তু পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন। এল নিনো বলতে ইএনএসওর উষ্ণায়ন পর্যায়কে বোঝায়। অন্যদিকে লা নিনা বোঝায় এর শীতলকরণ পর্যায়কে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: