গত এক মাসে খুলনায় নির্মিতব্য ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ৮৫ চীনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে গতকাল পর্যন্ত ১৯ জন নেগেটিভ হলেও ৬৬ জন এখনও পজেটিভ। খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ই মে একদিনেই ৪২ জন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েন।
জানা যায়, খালিশপুরে খুলনা বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে প্রায় ১৮৫ জন চীনা নাগরিক কাজ করছেন। ২০১৮ সালে ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টটির কাজ শুরু হয়। এই প্রজেক্টে বাঙালি শ্রমিকের সংখ্যা ৫-৬শ’। এছাড়াও প্রতিদিন প্রায় ২শ’ শ্রমিক অস্থায়ীভাবে কাজ করার জন্য প্রবেশ করেন এবং রাতে বাড়িতে ফিরে যান। গত এক মাসে ৮৫ জন চীনা নাগরিকের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এর মধ্যে শুধু ১৮ মে ৪২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। ওই দিন ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এসব বিষয়ে পাওয়ার প্লান্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জাহিদ হোসেন বলেন, গত ১৮ই এপ্রিল থেকে ১৮ই মে পর্যন্ত প্রজেক্টে কর্মরত ৮৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ১৯ জনের ইতোমধ্যে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এখনও ৬৬ জন আক্রান্ত। আক্রান্তরা নিজস্ব হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তারা চীনা নাগরিক। তিনি বলেন, আক্রান্ত কেউ কাজে অংশ নেয়নি। তারা ইতোমধ্যে সকলেই করোনা টিকা নিয়েছেন।
খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ প্রজেক্টে কর্মরত করোনা আক্রান্ত চীনারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এত সংখ্যক চীনা কেন করোনা আক্রান্ত হলো- বিষয়টি দেখার জন্য আইইডিসিআর’র খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর তদন্তের জন্য সেখানে গিয়েছেন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. হাসনাইন শেখ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি বৃহস্পতিবার প্রজেক্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার চীনা কমিউনিটিতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। যা কথা বলার তা ফোনেই বলতে হয়েছে। তাদের সকলের করোনার টিক দেয়া আছে। তাদের নিজস্ব চিকিৎসকও রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: