করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে মিয়ানমার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে চীন। চীনা গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে সংযোগকারী সেতুটি দিয়ে চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী রুইলি শহরে মিয়ানমারের তিন নাগরিক করোনা পজিটিভ শনাক্তের পরপরই সেতু বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় চীনা কর্তৃপক্ষ। শহরটিতে ফের লকডাউনও জারি করা হয়েছে।
মিয়ানমারের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে চীনা শহরটির সঙ্গে। সেখানে একটি সেতু দিয়েই দুই দেশের মধ্যে ৮০ ভাগ বাণিজ্য ও জনচলাচল হয়ে থাকে।
তাই করোনার ভয়ে ‘জিয়েগাও ব্রিজ’ নামে এই সেতুটি দিয়ে মানুষ ও সব ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে চীন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে কেউ মিয়ানমার সীমান্ত পার হলে বা পারাপারে সহযোগিতা করলে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জিনপিং সরকার এমন সময় সীমান্তটি বন্ধ করল যখন জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে মিয়ানমারের অনেকেই প্রতিবেশী চীন, ভারত, থাইল্যান্ডে আশ্রয়ের আশায় ছুটছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনতা। ক্ষমতা ধরে রাখতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে দেশটির সামরিক সরকারও।
অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নাম একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্য মোতাবেক, মিয়ানমারে এবারের অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে এপর্যন্ত অন্তত ৫২১ জন নিহত হয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: