দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত সাত হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির নাম প্রকাশ করেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংঘাতে ফিলিস্তিনে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংশয় প্রকাশের পর ২১২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলা ও অভিযানে মোট ৭ হাজার ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২ হাজার ৯১৩ জন।
এদিকে, বৃহস্পতিবারও রাতভর গাজায় বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যা আবাসিক ভবনগুলোয় আঘাত হানে। এতে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। সেই সঙ্গে গাজার বিরুদ্ধে চলমান ‘আগ্রাসন’ সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, এই সংঘাত ‘সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে।’
গত ২০ দিন ধরে চলা এ সংঘাত নিয়ে শুক্রবার প্রত্যাশিত জর্ডানের খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোট দিয়ে গাজা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি জরুরি বৈঠক শুরু করেছে।
ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামলা ও অভিযান চালানোর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বিদেশি গণমাধ্যমগুলো।
তবে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ইসরায়েলের অভিযানে বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু ফিলিস্তিন নিহতের যে সংখ্যা জানাচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।’
এমন ব্রিফিংয়ের প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিহত সাত হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির নাম প্রকাশ করে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: