গাজার উত্তরে আল শাতি শরণার্থী শিবির ও দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর ক্ষীপ্র গতিতে চলছে উদ্ধার অভিযান। গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গাজায় জিম্মি থাকা দুই বয়স্ক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে তারা। এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একাধিক গণহত্যার ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধ পরিকল্পনায় সহায়তা করার জন্য শহর এলাকায় যুদ্ধে পারদর্শী একজন জেনারেলসহ বেশকিছু উপদেষ্টাকে ইসরায়েলে পাঠাচ্ছে পেন্টাগন।
ইরান হামাসকে ইসরায়েলে হামলায় সহায়তা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো তেহরানের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই সক্রিয় রয়েছে।
ইসায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআব গালান্ট দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গাজায় আকাশ, স্থল ও সাগর পথে একযোগে অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘খুব শিগগিরই এই অভিযান শুরু হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোন আলাপে বলেন, ‘গাজায় সীমিত আকারে যে সাহায্য সামগ্রী আসছে, তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।’ হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেন সোমবার (২৩ অক্টোবর) হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি আরও দুজনকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ লোক নিহত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: