মিয়ানমারে সেনা অভিযান; নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ালো

সময় ট্রিবিউন | ৩১ মার্চ ২০২১, ০৪:০৮

ছবিঃ সংগৃহীত

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর সাথে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ চলছে। এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে সেখানে ৫০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) এমন তথ্য দিয়েছে। তবে এএপিপি বলেছে, প্রকৃত নিহত এর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মানুষের প্রতি এত বেশি সহিংসতার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

গতকাল সোমবারও দেশটিতে সামরিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৪ বিক্ষোভকারী। এদের মধ্যে আটজনই ইয়াঙ্গুনের সাউথ দাগোন এলাকার। গত শনিবার একদিনে সর্বোচ্চ ১১৪ জন বিক্ষোভকারী সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে। এরপরই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জান্তা সরকারের ওপর চাপ দিতে আহবান জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন মিয়ানমার এর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মানুষের প্রতি এত বেশি সহিংসতার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারাচ্ছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আগামীকাল বুধবার সাম্প্রতিক মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠকের কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

এদিকে রাস্তায় আবর্জনা ছুড়ে নতুন করে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে দেশটির সাধারণ জনগণ। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মহাসড়ক ও গোল চত্বরগুলোতে ময়লা ফেলে রেখে আসছেন লোকজন।

বিক্ষোভকারীদেরকে দমন করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গোলার মতো বিশেষ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন সহিংস বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ‘দাঙ্গা অস্ত্র’ ব্যবহার করছে। সাউথ দাগোনের এক বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেছেন, রাতভরই সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং গুলি ছুড়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির নেত্রী অং সান সু চি সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয় এবং সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর থেকেই ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে, সেই সাথে চলছে সেনাবাহিনীর চরম দমন নিপিড়ন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: