যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে ব্যাপক শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে দানবীয় ঘূর্ণিঝড় ‘মাওয়ার’। মাওয়ারের কেন্দ্রে রয়েছে প্রচণ্ড ঝড়ো ও দমকা হাওয়া। এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতসহ ধ্বংসযজ্ঞের ‘ত্রিমূখী হুমকি’ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ মে) বিকেলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দ্বীপটি জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি গত কয়েকদিনে এটি প্রবল শক্তি সঞ্চার করেছে বলে জানিয়েছেন গুয়ামের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস অফিস।
গুয়ামের আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে গুয়ামের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে বাতাস বয়ে যাওয়া শুরু হয়। এ সময় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৫ মাইল। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
গুয়ামের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের আবহাওয়াবিদ ব্রেন্ডন বাকুঁত বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রস্থল অনেক বেশি পরিবর্তনশীল হওয়ায় নির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন কখন কোথায় তা আঘাত হানবে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন প্রশান্ত মহাসাগরের মতো বিশাল সমুদ্রের ক্ষুদ্র একটি দ্বীপ হিসেবে মাওয়ারের মতো বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে যাই, তখন আমাদের অতি ছোট ছোট বিষয়ও জানা প্রয়োজন পড়ে।
চতুর্থ ক্যাটগরির ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাধারণত বাতাসের ঘূর্ণন গতি ওঠে ঘণ্টায় ২০৯ থেকে ২৫১ কিলোমিটার পর্যন্ত। পূর্বাভাসকারীরা সতর্ক করেছিলেন যে মাওয়ার একটি ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনের সমতুল্য ঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ উঠতে পারে ঘন্টায় ২৫২ কিলোমিটারের বেশি।
ঝড়ো হাওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এরফলে উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় গুয়ামের অধিবাসীদের উঁচু ও শক্তিশালী কাঠামোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
এসটি/এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: