চীনা প্রস্তাব যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি হতে পারে: পুতিন

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:১১

সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, চীনের শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবের অনেক বিধান ইউক্রেন যুদ্ধ নিষ্পত্তির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে, যখনই পশ্চিমা বিশ্ব এবং কিয়েভ এর জন্য প্রস্তুত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মস্কো সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন পুতিন।

পুতিন জানান, তিনি এবং শি তাদের একান্ত বৈঠকে বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাবের ওপর গভীর মনোনিবেশ করেছেন। তবে তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য যদি ইউক্রেনকে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামসহ গোলাবারুদ পাঠায়, তাহলে রাশিয়া প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হবে।

এদিকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে জিনপিং বলেছিলেন, চীনের সরকার শান্তি ও সংলাপের পক্ষে। চীন 'ইতিহাসের সঠিক দিকে আছে'।

তিনি দাবি করে বলেন, ইউক্রেন সংঘাতে চীনের একটি 'নিরপেক্ষ অবস্থানে' রয়েছে। বেইজিং সম্ভাব্য শান্তি স্থাপনের কাজ করতে চাচ্ছে।

ইউক্রেন ইস্যু ছাড়াও শি জিনপিং ও পুতিন, দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, শক্তি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেছেন।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে গত সোমবার মস্কো যান সদ্য তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

গত মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ১২ দফা প্রস্তাব করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এ ১২ দফার মধ্যে 'শত্রুতা বন্ধ করা' এবং'‘শান্তি আলোচনা' শুরুর প্রস্তাব রয়েছে। তবে সে পরিকল্পনায় রাশিয়াকে সুনির্দিষ্টভাবে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়নি। অন্যদিকে, চীনের এ শান্তি প্রস্তাব যুদ্ধকে প্রলম্বিত করার কৌশল হতে পারে বলে গত শুক্রবার সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, রাশিয়া যেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছেড়ে যায়, সে বিষয়টি যে কোনো আলোচনার শর্ত হিসেবে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রস্তুত থাকার কোনো লক্ষণ নেই বলেও মনে করছে ইউক্রেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইউক্রেনের ভূমি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়- এমন একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিজয়কে অনুমোদনে সমর্থন করে।

সেনা প্রত্যাহারের কথা বলার পরিবর্তে প্রস্তাবে চীন সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছে। এ ছাড়া সব পক্ষকে সংযমী হতে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করতে বলা হয়েছে প্রস্তাবে। সেইসঙ্গে প্রস্তাবে 'একতরফা নিষেধাজ্ঞার' নিন্দা জানানো হয়েছে- যা মূলত ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের প্রকাশ্য সমালোচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: