ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ঠেকাতে ‘সম্ভাব্য সব উপায়’ বিবেচনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তেহরানের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের বিস্তার রোধে আরও পদক্ষেপ নিতে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তারা দাবিও জানিয়েছে।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনে ইরান ও বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে আলোচনা গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই থমকে আছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, সব পক্ষ চুক্তি পুনরুজ্জীবনে সমঝোতার খুব কাছাকাছি চলে এলেও পরে ইরান অযৌক্তিক সব দাবিদাওয়া তুলে ওই অগ্রগতি ভণ্ডুলে করে দিয়েছে। এখন চুক্তি পুনরায় কার্যকরের সম্ভাবনাও দৃশ্যমান নয়, অন্যদিকে ইরানও তার পারমাণবিক কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়েভ গেলান্ট মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা যখন ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন ঠেকানোর কথা বলি, তখন সম্ভাব্য সব উপায়, আবার বলছি, সম্ভাব্য সব উপায় বিবেচনায় রাখতেই হয়।
ইয়োয়েভ দাবি করে বলেন, ইরানের ওপর চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত থাকা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষেপণাস্ত্র ও এ সংক্রান্ত প্রযুক্তিসহ অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনাবেচায় বিধিনিষেধ আছে। তা সত্ত্বেও তেহরানের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও চলে গেছে। ইরান এখন অন্তত ৫০টি দেশের কাছে ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম যুদ্ধাস্ত্রসহ অত্যাধুনিক নানান অস্ত্রশস্ত্র বিক্রির আলোচনা চালাচ্ছে,“ অর্ধশত দেশের মধ্যে বেলারুশ ও ভেনেজুয়েলার না উল্লেখ করে বলেছেন তিনি।
মৃতপ্রায় নিষেধাজ্ঞার কার্যকর বিকল্প বের করতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, যা হবে প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের একটি ব্যবহারিক প্রক্রিয়া বলেছেন ইয়েয়েভ।
ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র আছে বলে ধারণা করা হয়, তবে তারা কখনোই ভাণ্ডারে এই থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। ২০১৫ সালের চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বদলে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সীমিত পর্যায়ে রাখার শর্ত দেয়া ছিল। ওই শর্তের কারণে তেহরানের পক্ষে পারমাণবিক অস্ত্র কঠিন হয়ে পড়ত।
ইরান অবশ্য বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: