তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি; সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিলেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:৫৩

ছবিঃ ইন্টারনেট

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে এখন পর্যন্ত ৬৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস)। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের রিখটার স্কেল মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এই কম্পনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, পরপর আরো কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয় দেশটিতে। দুটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে অন্তত ৬ দশমিক ৭ ও ৫ দশমিক ৬।

এই ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ‘লেভেল ৪’ সংকেতও জারি করেছে দেশটির সরকার। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রবিবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট- ইউএসএইড) ও সরকারি অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারটি দেখভাল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধসে পড়েছে অসংখ্য ভবন। সেসব ভবনের নিচে আটকে পড়া হতাহতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডি ও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবো। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: