বাপের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন গৃহবধূ শিখা হাইত। কিন্তু নিষেধ করেন তাঁর স্বামী ৷ সেই নিয়ে ঝগড়া সাংঘাতিক আকার নেয়৷ রেগে শিখা এক টানে ছিঁড়ে দেন শ্বশুরের অণ্ডকোষ৷
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার বাকচা গ্রামে। অভিযুক্ত বধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে৷
বাপের বাড়িতে মাংস রান্না হচ্ছে বলে খবর পান গৃহবধূ শিখা হাইত। স্বামীকে ফোন করে তিনি বাপের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি চাইলে স্বামী জানান বাপের বাড়ি যাওয়ার এখন প্রয়োজন নেই। তিনি মাংস কিনে আনবেন। কিন্তু বাপের বাড়ি যেতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শিখা। সেই সময়ে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের উদ্দেশে কুকথা বলতে শুরু করেন তিনি।
অভিযোগ, শ্বশুর তাঁকে এই ধরনের কথা বলতে নিষেধ করতে থাকেন। কিন্তু পুত্রবধূ নিষেধ মানেননি। তাই পাল্টা শ্বশুরও পুত্রবধূর সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। চলে তীব্র বাদানুবাদ৷ সেই সময়ই রেগে আগুন হয়ে যান পুত্রবধূ৷ তিনি রাগের চোটে এক টানে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেন বলে অভিযোগ। শ্বশুর যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দরা ছুটে আসেন৷ তাঁরাই শিখার শ্বশুরকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার পর প্রতিবেশীরা গৃহবধূকে বেঁধে রাখলেও তিনি কোনওক্রমে বাঁধন খুলে বাপের বাড়ি পালান। পরে শ্বাশুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে গৃহবধূকে গ্রেফতার করে ময়না থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার ধৃত গৃহবধূকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর ১৪ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগকারিণী তথা ধৃতের শাশুড়ির দাবি, "ছেলে ও বউমার বিবাদ মেটাতে চেয়েছিলেন আমার স্বামী। তাতেই বউমা মাথা গরম করে আমার স্বামীর অন্ডকোষ ধরে ছিঁড়ে দিয়েছে। ওর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।"
ময়না থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে বৌমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷"
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: