বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে গতিতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ দূরিভূত হয়ে পুরোপুরি লিঙ্গ সমতার জন্য মানব সভ্যতাকে আরও প্রায় ৩০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। জাতিসংঘের বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত এক প্রতিবেদেন উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।
বুধবার জাতিসংঘের নারী অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএন ওম্যান প্রকাশ করেছে প্রতিবেদনটি। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান অগ্রগতির যে হার, তা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের সব দেশ থেকে নারীর ওপর পুরুষের মালিকানা ও বৈষম্য বিষয়ক যাবতীয় আইনের বিলোপ ঘটতে সময় নেবে অন্তত ২৮৬ বছর, ১৪০ বছর লাগবে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সমমর্যাদা, বেতন, ক্ষমতা ও নেতৃত্বে আসতে এবং রাজনীতি ও পার্লামেন্টে পুরুষ জনপ্রতিনিধিদের সমকক্ষ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে আরও ৪০ বছর।’
জাতিসংঘের দৃষ্টি অবশ্য এই চিত্র বেশ হতাশাজনক। কারণ চলতি শতকের গোড়ার দিকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য সম্পূর্ণ দূর করার লক্ষ্য নিয়েছিল জাতিসংঘ। ইউএন ওম্যানের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও চলমান বিভিন্ন ইস্যু বারবার সেই প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
‘বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, যেমন কোভিড মহামারি ও তার পরবর্তী অবস্থা, হিংসাত্মক সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও এ বিষয়ক বিভিন্ন অধিকারের চরম অবমনানা দিন দিন লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।’
বর্তমানে নারী ও পুরুষ্যের মধ্যকার বৈষম্যের চিত্র আরও স্পষ্ট করতে একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে বিশ্বজুড়ে চরম দারিদ্রের শিকার হতে যাচ্ছেন ৩৮ কোটি ৩০ লাখ নারী, যাদের দৈনিক উপার্জন হবে ১ দশমিক ৯ ডলারের চেয়েও কম। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৩৬ কোটি ৮০ লাখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: